
আমদানি বন্ধের অজুহাতে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে বেড়েছে চালের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজিতে দাম বেড়েছে ৪ থেকে ৫ টাকা।
শনিবার (৬ ডিসেম্বর) পাইকারি বাজার ঘুরে দেখা যায়, সপ্তাহ আগে যেই সম্পা কাটারি জাতের চাল বিক্রি হয়েছিল কেজি ৬০-৬১ টাকায়, তার বর্তমান দাম ৬৫ থেকে ৬৬ টাকা। বন্দরে পাইকারিতে চালের দাম বাড়ায় খুচরা পর্যায়েও প্রভাব পড়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন পাইকারসহ সাধারণ ক্রেতারা।
পাইকারদের দাবি, ভারত থেকে পর্যাপ্ত পরিমান চাল আমদানি হয়েছে। দাম বাড়াটা অহেতুক ছাড়া আর কিছু নয়। দামটা সহনীয় পর্যায়ে থাকলে ক্রয় করতে সুবিধা হবে।
এদিকে আমদানিকারকরা বলছেন, আমদানি বন্ধের শেষ মুহূর্তে পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ায় দামটা বেড়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১২ই আগস্ট থেকে চাল আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। এরপর দুই দফায় আমদানির অনুমতির মেয়াদ বাড়ানো হলেও সর্বশেষ ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত এর শেষ সময় ছিল। একারনে ১ ডিসেম্বর থেকে ভারত থেকে চাল আমদানি বন্ধ রয়েছে।
পাইকাররা জানান, আগের তুলনায় আমদানির শেষ পর্যায়ে অনেক চাল আনা হয়েছে। শেষের দিকে আমদানি হয়েছে দিনে ১০০ থেকে ১২০ ভারতীয় ট্রাক। তারপরও আমদানি বন্ধের অজুহাতে চালের দাম বাড়াচ্ছেন আমদানিকারকরা।
তাদের দাবি, সরকারের পক্ষ থেকে কোনো মনিটরিং না থাকার কারনে দামটা বাড়ছে।
এদিকে আমদানিকারকরা বলছেন, ৩০ নভেম্বর ছিল চাল আমদানির শেষ সময় তাই দ্রুত চালগুলো ভারত থেকে আমদানি করতে গিয়ে পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ায় দামটা বেড়েছে।
হিলি শুল্ক স্টেশন রাজস্ব কর্মকর্তা আজিজুল ইসলাম বলেন, ভারত থেকে চাল আমদানির সর্বশেষ মেয়াদ ছিল ৩০ নভেম্বর। আমদানি করা চালগুলো দ্রুত বাজারজাত করার জন্যে ছাড়করণ করা হয়েছে।
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ১ থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ১ হাজার ৬২ ভারতীয় ট্রাকে চাল আমদানি হয়েছে ৪৫ হাজার ৪১০ মেট্রিকটন।
মন্তব্য করুন