
আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ের নাটোরের শীর্ষ সন্ত্রাসী মো. কোয়েলের জামিনের তথ্য গোপন না রাখায় নাটোর জেলা কারাগারের জেলারকে এমপি শিমুল পরিচয় দিয়ে পরিবারসহ প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে ওই হুমকি দেয়া হয় বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় নিজের ও পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা চেয়ে নাটোর জেলা কারাগারের জেলার শেখ মো. রাসেল বৃহস্পতিবার বিকেলে নাটোর থানায় সাধারন ডায়েরি করেছেন।
নাটোর থানায় দায়ের করা জিডি সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ভারতীয় ৯১৭০৪৪২৩৭৭৬৯ হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর থেকে নাটোর সদরের সাবেক এমপি আওয়ামী লীগ নেতা শফিকুল ইসলাম শিমুল নিজের পরিচয় দিয়ে নাটোর জেলা কারাগারের জেলার শেখ মো. রাসেলের সাথে কথা বলেন। জেলার রাসেল কথা বলে নিশ্চিত হন কল দাতা নাটোর সদরের সাবেক এমপি আওয়ামী লীগ নেতা শফিকুল ইসলাম শিমুল। এ সময় সাবেক এমপি শিমুল জেলারকে বলেন, এমপির ঘনিষ্টসহচর নাটোরের শীর্ষ সন্ত্রাসী হত্যাসহ ১০টি মামলার আসামী মো. কোয়েল বৃহস্পতিবার কুষ্টিয়া জেলা কারাগার থেকে জামিনে ছাড়া পাবেন এ বিষয়ে নাটোর কারাগারে জামিনের কাগজপত্র পৌঁছালে তিনি (জেলার) যেন কাউকে না জানান। বুধবার রাতেও জামিনের বিষয় গোপন রাখতে এমপি শিমুল একই হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর থেকে একটি অডিও বার্তাও পাঠিয়ে হুমকি দেন। নাটোর কারাগারে থাকা বন্দী কোয়েলকে ১৫দিন আগে অন্য মামলায় হাজিরা দেয়ার জন্য কুষ্টিয়া কারাগারে পাঠিয়েছিল নাটোর কারাগার কর্তৃপক্ষ।
আজ বৃহস্পতিবার কুষ্টিয়া জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার সাথে সাথে কুষ্টিয়ার গোয়েন্দা পুলিশ কোয়েলকে পুনরায় আটক করে। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে একই নম্বর থেকে বৃহস্পতিবার বেলা ২-১ মিনিট ও ২-৯মিনিটে একই নম্বর থেকে হুমকি দিয়ে জেলার শেখ মো. রাসেলকে তার হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে পরপর দুটি ম্যাসেজ পাঠায়। প্রথম ম্যাসেজে বলা হয়, ‘আপনি যে অন্যায় কাজটা করলেন, আল্লাহ যদি আমাকে বাঁচিয়ে রাখে, মনে রাখবেন আপনার বউসহ আপনার পরিবার কিভাবে বাঁচবেন, রক্ষা করবেন, সেটা অবশ্যই ঠিক করে রাখবেন’। অপর ম্যাসেজে বলা হয়’ আপনার বিষয়টি নোট করে রাখা হয়েছে’। এই হুমকি ও জিডির ঘটনায় নাটোরে চ্যাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। নাটোর কারাগারের জেলার শেখ মো. রাসেল বলেছেন, এমন হুমকিতে তিনি ভয় পাননি, নিয়মের কারণে এবং পরিবারের কথা বিবেচনা করে থানায় জিডি করেছেন। নাটোর থানায় কর্তব্যরত ডিউটি অফিসার সালমা খাতুন থানায় এ বিষয়ে জিডি এন্টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
মন্তব্য করুন