
নারায়ণগঞ্জের বন্দরে বিচার সালিশে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে নিহত আলমগীর হোসেন হত্যা মামলার দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) নারায়ণগঞ্জ জেলা। গ্রেফতারকৃতরা হলো মামলার ৫ নং আসামি জুয়েল (৩৬) ও ১৮ নং আসামি আকিব ইবনে রাতুল (৩০)। গতকাল সোমবার রাতে নারায়ণগঞ্জ ও আশপাশের জেলায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা পিবিআই কার্যালয়ে আয়েজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায় সংস্থার পুলিশ সুপার মোস্তফা কামাল রাশেদ। এসময় তিনি জানান, গ্রেফতারকৃত জুয়েল বন্দর সালেহনগর বারইপাড়া এলাকায় বাচ্চাদের পোশাক ব্যবসা করতেন। ব্যবসার সূত্র ধরে আলমগীর হোসেন ও তার ছেলে মুন্নার কাছ থেকে তিনি বেশ কিছু টাকা ধার নেন। পরে টাকা পরিশোধ না করায় দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়।
ঘটনার এক সপ্তাহ আগে আলমগীর জুয়েলের একটি মোটরসাইকেল তার বাসায় আটকে রাখেন। এর জের ধরে গত ৩ অক্টোবর বিকেলে পারভেজ নামের এক ব্যক্তির গ্যারেজে সালিশ বসে। কিন্তু আলমগীর সালিশে না গেলে, আসামি জুয়েলের নির্দেশে সহযোগীরা তাকে ধরে গ্যারেজে নিয়ে যায়। সেখানে আলমগীর ও তার ছেলে পাওনা টাকা চাইলে আসামিরা ক্ষিপ্ত হয়ে হাতুড়ি ও এসএস পাইপ দিয়ে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে গুরুতর জখম করে। গুরুতর আহত অবস্থায় আলমগীরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন ৪ অক্টোবর মারা যান।
পিবিআই নারায়ণগঞ্জ জেলা মামলাটি ৬ অক্টোবর স্ব-উদ্যোগে অধিগ্রহণ তদন্ত করে এবং একই রাতে নারায়ণগঞ্জসহ আশপাশ জেলায় অভিযান চালিয়ে মূল পরিকল্পনাকারী জুয়েল ও তার সহযোগী আকিব ইবনে রাতুলকে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি আকিব হত্যাকাণ্ডে তার সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে জানায়, আসামি জুয়েলের পরিকল্পনা ও নির্দেশেই এ হত্যাকা- সংঘটিত হয়।
মন্তব্য করুন