
রাজশাহীতে ‘হেল্প হেল্প’ বলে ডেকে এক শিক্ষকের ওপর ছুরি হামলা চালানো সেই ছাত্রীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা হয়েছে। মামলার পর ২০ আগস্ট বুধবার রাতে বোয়ালিয়া থানা পুলিশ তাকে হেফাজতে নেয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতের নির্দেশে ওই ছাত্রীকে গাজীপুরের কোনাবাড়ীর কিশোরী উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বোয়ালিয়া থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ।
মামলার বাদী হয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষক মারুফ কারখী (৩৪)। তিনি রাজশাহী ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের বাংলা বিভাগের শিক্ষক। বাড়ি ঠাকুরগাঁও হলেও বর্তমানে রাজশাহী নগরের কাজলা এলাকায় বসবাস করছেন। গত ১৯ আগস্ট ছাত্রীটির ছুরিকাঘাতে তাঁর গলা ও হাতে জখম হয়।
আহত ওই শিক্ষক জানান, মেয়েটি প্রথমে ‘হেল্প হেল্প’ বলে চিৎকার করছিল। ভেবেছিলাম বিপদে পড়েছে, হয়তো ছিনতাই হচ্ছে। তাই থেমেছিলাম। আমি থামতেই সে দৌড়ে এসে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। এরপর একাধিকবার আঘাত করে। একপর্যায়ে আমি তার ছুরি ধরে ফেলি। মুখে মাস্ক থাকায় শুরুতে চিনতে পারিনি।
রাজশাহী ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনের সড়কে এ হামলার ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা ছাত্রীটিকে আটক করে পরিবারের কাছে দেয়। পরে পুলিশ তাদের হেফাজতে নেয়। প্রায় ১৬ বছর বয়সী ওই শিক্ষার্থী ক্যান্টনমেন্ট স্কুলে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে। তবে ‘উচ্ছৃঙ্খল আচরণের কারণে’ ২০২৩ সালে তাকে টিসি দেওয়া হয়। বর্তমানে সে শহীদ কর্নেল কাজী এমদাদুল হক পাবলিক স্কুলে দশম শ্রেণিতে পড়ছে।
ক্যান্টনমেন্ট স্কুলের এক কর্মকর্তা জানান, টিসি দেওয়ায় ওই শিক্ষার্থীর ক্ষোভ ছিল। নির্দিষ্ট কোনো শিক্ষকের বিরুদ্ধে নয়, বরং পুরো স্কুল কর্তৃপক্ষের প্রতিই ক্ষোভ থেকে যায় তার। ফলে সুযোগ পেলেই হামলা করার চেষ্টা করেছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে শিক্ষক মারুফ কারখী তার শিকার হন। ঘটনার পর আহত শিক্ষককে রাজশাহীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন।
মন্তব্য করুন