
গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশ ঘিরে হামলা-সংঘর্ষের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত তিনজনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে তোলা হচ্ছে।
সোমবার (২১ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে শহরের পৌর কবরস্থান থেকে ইমন তালুকদার ও রমজান কাজী এবং টুঙ্গিপাড়ার কবরস্থান থেকে সোহেল রানা মোল্লার লাশ তোলার প্রস্তুতি শুরু হয়।
এর আগে সোমবার সকালে সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত রমজান কাজী, ইমন তালুকদার ও সোহেল রানার মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করে সুরতহাল প্রতিবেদন ও ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন আদালত। নিহতের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা মরদেহ উত্তোলনের আবেদন করলে আদালত এ নির্দেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির মো. সাজেদুর রহমান।
তিনি বলেন, “নিহতের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা আজ আদালতে নিহতদের সুরতহাল প্রতিবেদন ও ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ উত্তোলনের আবেদন করেন। পরবর্তীতে বিজ্ঞ আদালত একজন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে নিহত রমজান কাজী, ইমন তালুকদার ও সোহেল রানার মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করে সুরতহাল প্রতিবেদন ও ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন।”
গত ১৬ জুলাই সংঘর্ষে নিহত চারজনের লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন ও সৎকার করা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকায় মারা যান রমজান মুন্সি। পরদিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে তার মরদেহের ময়নাতদন্ত হয়।
মন্তব্য করুন