শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫

ব্রামার আসন্ন নির্বাচন ঘিরে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ

বৈশাখী ডেস্ক
প্রকাশ : ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:২১ পিএম
আপডেট : ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:১৯ পিএম

বাংলাদেশ রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ার কন্ডিশনিং মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশন (ব্রামা)-এর আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে স্বচ্ছ ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ নস্যাৎ করতে একটি চক্র নানামুখী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, এই চক্রের নেতৃত্বে রয়েছেন সংগঠনেরই একজন সদস্য ও সভাপতি পদপ্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, যার রাজনৈতিক ও পারিবারিক যোগসূত্র ক্ষমতাসীন আওয়ামী সরকারের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত।

আনোয়ারুল ইসলামের অভিযোগ অনুযায়ী, ওয়াহিদের বিয়াই ছিলেন আওয়ামী সরকারের তিনবারের সংসদ সদস্য এ.এফ.এম. ফখরুল ইসলাম মুন্সী, আর ওয়াহিদের জামাতা রাজী মোহাম্মদ ফখরুল নির্বাচনবিহীন ভোটের দুই মেয়াদে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এই পরিবার দীর্ঘদিন ধরেই সরকারি ছত্রচ্ছায়ায় সুবিধাভোগী ও রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারে পরিচিত।

ওয়াহিদের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের এক আত্মীয় সাইদুর রহমান—যিনি নিজেকে তথাকথিত ইন্ডিপেন্ড মুসলিম পার্টি–এর চেয়ারম্যান এবং ১৫ দলীয় সমমনা জোটের প্রধান সমন্বয়কারী পরিচয় দেন—তার মাধ্যমে বিএনপি কেন্দ্রীয় দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করান ওয়াহিদ। পরবর্তীতে ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আনোয়ারুল ইসলামের সুনাম ক্ষুণ্ণের চেষ্টা চালানো হয় বলে অভিযোগ করেন আনোয়ারুল ইসলাম।

আনোয়ারুল ইসলাম ইতোমধ্যে বিএনপি দপ্তরে তথ্যপ্রমাণসহ পাল্টা অভিযোগ দাখিল করেছেন, যেখানে সাইদুর রহমান ও আবু হাসনাত সৈয়দ ওয়াহিদের যোগসাজশের বিস্তারিত বিবরণ এবং ব্যাংক লেনদেনের প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়েছে। বিষয়টি বর্তমানে আইনি প্রক্রিয়াধীন, এবং দলের অভ্যন্তরে তদন্ত শুরু হয়েছে।

জানা গেছে, কিছু প্রভাবশালী মহলের কারণে গত ১২ বছর ধরে ব্রামার নির্বাচন স্থগিত হয়ে আসছিল। তবে এবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও আদালতের রায়ের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়া পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আনোয়ারুল ইসলামের মতে, “এবারের নির্বাচন একটি মুক্ত ও ন্যায়ভিত্তিক প্রক্রিয়ার প্রতীক। কিন্তু কিছু চক্র পুরনো কৌশলে তা ব্যাহত করার চেষ্টা করছে।”

তিনি আরও বলেন, “আমি ছোটবেলা থেকেই বিএনপির ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। ২০০২ সাল থেকে ছাত্রদলের রাজনীতি করছি। নীতি ও আদর্শের রাজনীতিই আমার লক্ষ্য। যাদের শিকড় ফ্যাসিস্ট সরকারের সঙ্গে, তারা কখনোই সত্যের জয় মেনে নিতে পারে না।”

এ বিষয়ে আনোয়ারুল ইসলাম শনিবার (২৬ অক্টোবর ২০২৫) হাতিরঝিল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। জিডিতে তিনি উল্লেখ করেন, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকা একটি চক্র তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে নির্বাচনী প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে। একইসঙ্গে তিনি নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে প্রশাসনের সহযোগিতা চান।

এদিকে সংবাদে ‘তথাকথিত’ শব্দটি ব্যবহারে আপত্তি জানিয়ে মুহাম্মদ সাইদুর রহমান বলেন, তিনি ছাত্র জীবনে স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একজন সংগঠক হিসেবে রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন। ৯০ এর গণঅভুত্থান, ২০০৭ এর ফখরুদ্দিন মঈনুদ্দিনের ১/১১ ও ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের দুঃশাসনের ১৫টি বছর জেল জুলুম ও নির্যাতন সহ্য করেছেন এবং ২৪ এর জুলাই গণঅভ্যুত্থানের একজন স্টেকহোল্ডার হিসেবে তার রাজনৈতিক জীবন পূর্ণতা পেয়েছে। জুলাই আন্দোলনে তিনি ইন্ডিপেন্ডেন্ট মুসলিম পার্টির চেয়ারম্যান ও ১৫ দলীয় সমমনা গণতান্ত্রিক জোটের প্রধান সমন্বয়কারী হিসেবে ছাত্র জনতার বিপ্লবের একজন স্টেকহোল্ডার ছিলেন। তাই তিনি ‘তথাকথিত’ নয় প্রকৃত বলে জানান।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
নির্বাচনে যেসব তারকা বিএনপির মনোনয়ন আলোচনায়
নির্বাচনে যেসব তারকা বিএনপির মনোনয়ন আলোচনায়
জকসু নির্বাচন ঘিরে ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি
জকসু নির্বাচন ঘিরে ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি
রাকসুর নতুন ভিপি জাহিদ, জিএস আম্মার,এজিএস সাব্বির
চূড়ান্ত ফল ঘোষণা / রাকসুর নতুন ভিপি জাহিদ, জিএস আম্মার,এজিএস সাব্বির
চাকসুতে ছাত্রদল-ছাত্রশিবিরের প্যানেল ঘোষণা
চাকসুতে ছাত্রদল-ছাত্রশিবিরের প্যানেল ঘোষণা